এত জনের অভিনন্দন পেয়ে খুশিতে আমার পিএইচডি রিসার্স কি নিয়ে ছিল সেটা একটু বলতে ইচ্ছে হলোঃ
আমি রিসার্স করেছি একটা জলপরীকে নিয়ে

কি বিশ্বাস হয় না??
তাইলে দেখেন ...
Click This Link
সম্ভবত ক্লাশ সেভেন বা এইট এর পাঠ্যবইয়ে ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র জীবনী পড়েছিলাম। “ডঃ” শব্দটির সাথে বোধহয় সেই প্রথম পরিচয়; আর একটা স্বপ্নের বীজও সম্ভবত তখনই গোপনে রোপিত হয়ে গিয়েছিল। একটা ফ্যাসিনেশন তৈরি হয়েছিল শিক্ষা জীবনের সর্বোচ্চ এই ডিগ্রীটার প্রতি, যার মূল্য এতটা বেশি যে তা মানুষের নামের সাথে অলঙ্কার হিসাবে ব্যবহৃত হয়!!!
ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পরে আব্বা’র খুব ইচ্ছা ছিল যেন ডাক্তারী পড়ি; কিন্তু কাটা-ছেড়া খুব ভয় পেতাম বলে ডাক্তারী আমার একদম পছন্দ ছিল না। আব্বা মন খারাপ করলে তাকে বলতাম, আচ্ছা ‘ডাক্তার’ না হতে পারি ‘Doctor’ হওয়ার চেষ্টা করব! আমার ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার; কিন্তু বুয়েটে চাঞ্চ পেলাম না; খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।

অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হলো - এক সাথে দু’টো!
কাঙ্ক্ষিত ডিগ্রীটার নাগাল পেলাম- Doctor of Engineering!!!
এখন থেকে আমিও আমার নামের সাথে অলঙ্কারটি যুক্ত করতে পারি – ডঃ তোমোদাচি


গত পাঁচ বছর ল্যাবে বসে কাটখোট্টা রিসার্স এর কাজ করতে করতে যখন টায়ার্ড হয়ে যেতাম তখন মাথার জ্যাম ছাড়াতে এই সামু ব্লগ খুবই উপকারে এসেছে। এখানে পরিচিত হয়েছি অসংখ্য ভার্চুয়াল বন্ধুর (তোমোদাচির) সাথে! তাই এই খুশির খবরটা ব্লগের তোমোদাচিদের সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না!

মানুষ খুব মউজে থাকলে আবেগের বশে মাঝে মাঝে লজ্জাজনক ছেলেমানুষী করে ফেলে; আমার অবস্থা সম্ভবত এখন সেরকম! ব্যাক্কলের মত নিজের ঢোল নিজে পিটাইলাম!!

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৫১